Monday 28 June 2021

গঠনতন্ত্র | চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন


নিম্নে চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের এ-টু-জেড বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—

ধারা—১ : সংগঠনের নাম
এই সংগঠনটির নাম বাংলায়  "চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন" এবং ইংরেজিতে "Chatrapedia Foundation"।

ধারা—২ : সংগঠনের ধরণ ও প্রকৃতি
এটি একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামাজিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের শাখা হিসেবে একটি অলাভজনক সংগঠন।
Note : বাংলাদেশের প্রথম লোকাল কমিউনিকেশন মিডিয়া 'চতরাপিডিয়া'। চতরাপিডিয়া একটি বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হওয়ার এর সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো "চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন" এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। চতরাপিডিয়া একটি বিজনেস প্রজেক্ট, তবে এর সামাজিক সেবামূলক অংশ "চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন" একটি অলাভজনক সংগঠন। আর চতরাপিডিয়া একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হওয়ায় চতরাপিডিয়া মিডিয়া ব্যবসা এখনও প্রফিট করতে পরে নি তাই এর সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলোতে চতরাপিডিয়ার নিজস্ব অর্থায়নের তুলনায় অনুদানদাতাদের দেওয়া অর্থের পরিমাণই অনেকগুণ বেশি হয়ে থাকে; তাই চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের এসব ফান্ড সংগ্রহের কাজ চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের কমিটির মাধ্যমে হয়ে থাকে। মূলত চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের ব্যানারে অনুদানের অর্থ সংগ্রহ ও তা দিয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডসমূহ বাস্তবায়ন করাই "চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন" এর কাজ।
অলাভজনক সংগঠন হওয়ায় এই ফাউন্ডেশনের সদস্য ও কর্মীরা কোনোরূপ বেতনভাতা বা সম্মানী পান না, তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে থাকেন।

ধারা—৩ : লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য সামাজিক সেবামূলক কাজ করা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সমাজে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং চতরাপিডিয়ার ফ্রি ফিচারগুলোর মাধ্যমে লোকাল কমিউনিকেশন বৃদ্ধি করা।

ধারা—৪ : কর্মপরিধি
এই সংগঠনটির কর্মপরিধি ১৪ নং চতরা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তবে এর পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ইউনিয়নের গ্রামগুলোর প্রতিও আমাদের উদার সহযোগিতামূলক সৌহার্দ্যের নীতি বিদ্যমান।

ধারা—৫ : কার্যাবলি
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মোতাবেক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
উদাহরণস্বরূপ—
i) স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে অস্থায়ী বুথ স্থাপন।
ii) সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ যেমন- বৃক্ষরোপণ, বন্যপশুপাখি সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি।
iii) বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আয়োজন ও পুরস্কার প্রদান।
iv) চতরার চলমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত "চতরা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন" কে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবয়নে সহায়তা করা।
iii) চতরাপিডিয়ার অন্যতম ফ্রি ফিচার এলাকার পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য গঠিত "চতরা হেল্পবুক" কে জনগণের সহায়তার পরিপূর্ণ ব্যবহার করা।

ধারা—৬ : কার্যালয়
চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যালয় চতরাহাট বঙ্গবন্ধু চত্তরে অবস্থিত। তবে এর সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি যেকোনো সুবিধাজনক স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।

ধারা—৭ : সাংগঠনিক কাঠামো
চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, যুব সম্পাদক এবং নারী বিষয়ক সম্পাদক— এসব প্রতিটি পদে একজন করে মোট ৮ জন সম্পাদক নিয়ে গঠিত। এছাড়া চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনে কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী এবং অনির্দিষ্ট সংখ্যক সাধারণ সদস্য থাকবে। উপদেষ্টাগণ চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকবেন।
এখানে উল্লেখ্য যে চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি হয়ে থাকেন পদাধিকারবলে চতরাপিডিয়া বিজনেসের সিইও এবং বিজনেস প্ল্যাটফর্মের আরও দুইজন চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের উক্ত কমিটির সদস্য হতে পারেন। তবে চতরাপিডিয়া বিজনেসের একাধিক কর্মকর্তা চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হলেও চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা বিদ্যমান থাকে; এটাই চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিশ্বস্ততা ও আস্থার জায়গা। আর ফাউন্ডেশন যাতে অন্যকোনো প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত হতে না পারে সেজন্যই চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রকৃতি এরূপ যা এর একটি প্রতিরক্ষা নীতি।

ধারা—৮ : সাধারণ সদস্যপদ প্রাপ্তি
চতরাপিডিয়ার মাধ্যমে কোনো দামী জিনিস কিনলে (যেমন- ফ্রিজ, টিভি, বাইক, কম্পিউটার ইত্যাদি) তা থেকে চতরাপিডিয়া বিজনেস যে মার্কেটিং চার্জ পাবে তার একটি অংশ চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনে জমা হবে। আর সেই ক্রেতা চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের একজন সাধারণ সদস্য হতে পারবেন। সাধারণ সদস্যগণ চতরাপিডিয়া হতে বিভিন্ন সেবা সুলভ মূল্যে পাবেন এবং লাইফের বিভিন্ন বিষয়ে কমিউনিকেশন হেল্প পাবেন। উল্লেখ্য যে চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের কোনো সভা ও নীতিনির্ধারণে সাধারণ সদস্যদের কোনো ভুমিকা নেই। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারিত ও পরিচালিত হবে। সাধারণ সদস্যরা হলেন আমাদের চতরাপিডিয়া বিজনেসের গ্রাহক যাদের পরিশোধিত সেবামূল্য হতে চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন একটি অংশ সামাজিক কাজ পরিচালনার জন্য পেয়ে থাকে।

ধারা—৯ : কমিটির সদস্যদের ক্ষমতা
চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন যেহেতু একটি বিজনেস প্ল্যাটফর্মের সামাজিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের শাখা তাই এর অন্যান্য সদস্যগণ ভোটাভুটি করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সভাপতিকে অভিশংসিত করে চতরাপিডিয়ার সিইও ব্যতীত অন্য কাউকে এর সভাপতি নির্বাচন করার সুযোগ নেই। সদস্যদের ক্ষমতা সামাজিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে তাদের মতামত ও ভোট প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সামাজিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সদস্যদের মতামতের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

ধারা—১০ : কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
ক. সভাপতি : ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র হিসেবে সভাপতি সংগঠনের কার্যক্রম মূল্যায়ন করবেন। সভা আহবান, পর্ষদ সদস্য মনোনয়ন, সাধারণ সদস্য অনুমোদন দেওয়া তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
খ. সাধারণ সম্পাদক : তিনি সংগঠনের সক্রিয় মুখপাত্র হিসেবে সংগঠনের কর্মকাণ্ডের তদারকি করবেন এবং অন্যান্য সম্পাদকদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করে তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
গ. সাংগঠনিক সম্পাদক : তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক বিষয়াদি দেখাশুনা করবেন এবং সাংগঠনিক বিষয়াদির উৎকর্ষ সাধনে কাজ করবেন।
ঘ. অর্থ সম্পাদক : তিনি সংগঠনের আয়-ব্যায়ের হিসাব নিকাশ লিপিবদ্ধ করবেন। তিনি নির্বাচিত ক্ষেত্রসমূহ হতে অর্থ আহরণ ও সম্পাদন করবেন।
ঙ. দপ্তর সম্পাদক : তিনি সংগঠন দপ্তরের দেখাশুনা ও তদারকি করবেন।
চ. প্রচার সম্পাদক : তিনি সংগঠনের আহবান, ঘোষণা ও কর্মসূচিসমূহ প্রচার করবেন।
ছ. যুব সম্পাদক : তিনি এলাকার যুব সমাজকে সংগঠনের কর্মকাণ্ডের প্রতি আগ্রহী ও সহযোগী করে তুলতে কাজ করবেন।
জ. নারী বিষয়ক সম্পাদক : তিনি এলাকার নারী সমাজকে সংগঠনটি সম্পর্কে জানাবেন এবং এর কর্মকাণ্ডের প্রতি আগ্রহী ও সহযোগী করে তুলতে কাজ করবেন।

ধারা—১১ : তহবিল
ক. তহবিল গঠন : চতরাপিডিয়া হতে প্রাপ্ত সাধারণ সদস্যদের সেবামূল্যের অংশ, সদস্যদের দান/ অনুদান, সরকারি দান/ অনুদান এবং পৃষ্ঠপোষকদের দান/ অনুদান এর মাধ্যমে তহবিল গঠিত হবে।
খ. তহবিল সংরক্ষণ : তহবিল অর্থ সম্পাদকের (কোষাধ্যক্ষ) নিকট সংরক্ষণ করা হবে এবং বড় অংকের অর্থ হলে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে সংরক্ষণ করা হবে।
গ. আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা : অর্থ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের সহায়তায় আয়-ব্যায়ের হিসাব নিরীক্ষা করবেন।

ধারা—১২ : সভা
ক. সাধারণ সভা : প্রতি তিনমাসে একবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের কর্মকাণ্ডের সফলতা বিশ্লেষণ করা ও সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা এই সভায় উদ্দেশ্য।
খ. কার্যনির্বাহী সভা : কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হলে কার্যনির্বাহী সভা আহবান করা হবে।
গ. সভার পদ্ধতি : চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের পর্ষদ সদস্যগণ রিয়েল এবং ভার্চুয়াল দুই ধরণের সভা করে থাকেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কোন ধরণের সভা অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
ঘ. সভা আহবান : সভাপতি সভা আহবান করবেন। সভা আহবানের দুইদিন পূর্বে ফোনের মাধ্যমে তা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের জানানো হবে।
ঙ. সভার কোরাম : সভায় অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম সম্পন্ন হয় এবং দুই তৃতীয়াংশের সম্মতি পেলে কোনো নতুন সিদ্ধান্ত পাস হয়।
চ. সফল অধিবেশন : সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিকে সফল অধিবেশন হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।

ধারা—১৩ : নির্বাচন
পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের সততা, যোগ্যতা, দক্ষতা বাছাই করে মনোনয়ন পদ্ধতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যের পদ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে উপদেষ্টামণ্ডলীর মতামতকে একটি অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে ধরা হবে।

ধারা—১৪ : গঠনতন্ত্র সংশোধনী
কোনো সফল অধিবেশনে সংশোধনী প্রস্তাবে দুই-তৃতীয়াংশ 'হ্যাঁ' ভোটের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র সংশোধনী সম্পন্ন করা হবে। তবে ফাউন্ডেশনের মৌলিক নীতি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। অর্থাৎ সংশোধনী প্রস্তাবের মাধ্যমে চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনকে চতরাপিডিয়া হতে পৃথক করে সতন্ত্র সংগঠন করা কিংবা চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশনের নাম পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।

ধারা—১৫ : সদস্যপদ স্থগিত ও সদস্যের বহিষ্কার
ক. সদস্যপদ স্থগিত : সংগঠনের কাজে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলে তথা সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বারবার অনুপস্থিত থাকলে কোনো সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করে তাকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হবে, উক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে সেই সদস্য তার সদস্যপদ ফিরে পেতে পারেন।
খ. সদস্যের বহিষ্কার : কোনো সদস্য সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত ঘোষণার মাধ্যমে ইহা কার্যকর করা হবে।

ধারা—১৬ : বিলুপ্তকরণ পদ্ধতি
কখনও ফাউন্ডেশনটি বিলুপ্ত করার আবশ্যকতা দেখা দিলে সভাপতি কর্তৃক আহবানকৃত একটি সফল অধিবেশনে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত ঘোষণার মাধ্যমে ফাউন্ডেশনটির বিলুপ্তিকরণ প্রকৃত সম্পন্ন করা হবে।

[] সংযুক্তিসমূহ—


চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন | চতরাপিডিয়ার একটি সামাজিক কর্মকাণ্ডের শাখা
চতরাহাট, পীরগঞ্জ, রংপুর।
ফোন— 01746315639 / 01785-416005
ওয়েবপেজ : chatrapediafoundation.blogspot.com
ই-মেইল : chatrapediafoundation@gmail.com
ফেসবুক : facebook.com/chatrapedia

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন | চতরাপিডিয়া ফাউন্ডেশন

No comments:

Post a Comment